source_link
stringlengths 11
485
⌀ | newspaper_name
stringclasses 19
values | published_date
stringlengths 9
34
⌀ | headline
stringlengths 12
253
| short_description
stringlengths 29
11.4k
| sentiment
stringclasses 2
values |
---|---|---|---|---|---|
জাল ভোট হলে কেন্দ্রের কারও চাকরি থাকবে না: ইসি আহসান হাবিব | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | জাল ভোট হলে কেন্দ্রের কারও চাকরি থাকবে না: ইসি আহসান হাবিব | নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, কোনো কেন্দ্রে যদি একটি জাল ভোট হয় তবে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারসহ কারও চাকরি থাকবে না।
তিনি আরও বলেছেন, প্রথমে তাদের সাসপেন্ড করা হবে, পরবর্তীতে চাকরিচ্যুতির জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হবে। আমাদের অবস্থান এবার জিরো টলারেন্স।
বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পটুয়াখালীর চারটি এবং বরগুনার দুটি আসনের প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আহসান হাবিব খান বলেন, এখন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা আছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট পোলিং অফিসার দেখবে চেহারা, ছবি মিলাবে, তারপর ভোট দিবে। একটি ব্যক্তি যেন না বলে আমার ভোট তো দেওয়া হয়ে গেছে। একটি কেস যদি পাওয়া যায় সেই প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদেরকে কিন্তু সাথে সাথে সাসপেন্ড করা হবে এবং পরবর্তীতে চাকরিচ্যুক করা হবে। আমাদের যা যা করা দরকার সেটা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সততা-স্বচ্ছতা এবং সুন্দর ভোটের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এটার সহযোগিতা কিন্তু সবার দরকার। প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও দরকার। তারা সহযোগিতা করবে এবং আমার সাথে সবাই পরীক্ষিত এখানে যারা আছেন তারা আমাদের অনেক ইলেকশনে সহযোগিতা করে প্রমাণ করেছে তারা সঠিক নির্বাচনের জন্য প্রশাসন, পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগী হয়ে কাজ করছে।
সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন , আপনাদের সহযোগিতা দরকার; আপনারা যারা আছেন তারা কেন্দ্রের সামনে ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন আর কেন্দ্র ভাগ করে নিবেন, ভোট দিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসা করবেন, ‘মা কেমন ভোট হল?’ মা এসে বলবে, বাবা এত সুন্দর ভোট কখনো দেখি নাই। এটা যদি বলে তাহলে ১০০ তে ১০০ প্রচার করেন। আবার যদি বলে, ‘বাবা আমার ভোট কে যেন দিয়ে গেছে, আর ভিতরে কে যেন সিল মারছে’ তখন আপনারা প্রচার করেন যেই হোক যার ফেভারেট হোক সেটা প্রচার করবেন যদি সৎ সাহস থাকে। আপনাদের এই সহযোগিতা দরকার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই পর্যন্ত আপনারা সহায়তা করেছেন সাহায্য দিয়েছেন এবং দেখেন বড় পত্রিকায় এসেছিল লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুজনকে চাকরিচুত্যু হতে যাচ্ছে। আপনাদের মিডিয়ার খবর আমাদের পর্যন্ত আসতে হবে। সকলের সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ পৃথিবীর কাছে, বাংলাদেশ ভোটারদের কাছে , আমাদের নিজেদের মনের মধ্যে বিবেকের কাছে, যেন প্রমাণ করতে পারি এর আগে অতীতে এমন নির্বাচন হয় নাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এবং আগামী নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুকরণীয় অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহীদুল্লাহ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, বিভিন্ন আসনের প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। | Positive |
ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ভোট দেয়ার আহবান | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ভোট দেয়ার আহবান | বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে আর বিবেচ্য নয়। তারা নির্বাচনে এলো কিনা সেটা এখন আর বিবেচনায় না নিয়ে সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোট দিতে যেতে হবে।
বুধবার, ক্যাম্পেইন এডভোকেসি প্রোগ্রামের ‘ভোটার টার্নআউট’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানটির ইলেকশন রিসার্চ এন্ড এনালিস্ট টিমের সদস্য কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই ওয়েবিনারে আলোচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, জামায়াত-বিএনপির নির্বাচন বর্জনকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
সামাজিক মাধ্যমে চলতে থাকা সব গুজবের শক্তিশালী জবাব দিয়ে নতুন ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহিত করার কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাগীব রহমান।
অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলোর ভোট বিরোধী আন্দোলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বলেন, জনগণ ভোট উৎসবে যুক্ত হবার জন্য মুখিয়ে আছে।
ওয়েবিনারে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক তৎপরতা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আলোচনা করেন।
চট্টগ্রামের রাউজানের খৈয়াখালী রত্নাঙ্কুর বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সুমঙ্গল থের বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী। সকল প্রকার ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রেখে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। | Positive |
বৃহস্পতিবার ছয় জেলার জনসভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | বৃহস্পতিবার ছয় জেলার জনসভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের প্রচারে বৃহস্পতিবার ছয় জেলার জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর এবং বান্দরবানে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাগুলোর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার রংপুরে নির্বাচনী প্রচারে যান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। ওইদিন কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার জনসভায় বক্তব্য দেন।
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন শেখ হাসিনা। এরপর বৃহস্পতিবার পাঁচ জেলায় ভার্চুয়ালি জনসভায় বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায়, ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) এবং মাদারীপুর-৩ আসনে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। | Positive |
ভুল-ত্রুটি আমাদের, সফলতা আপনাদের: শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ভুল-ত্রুটি আমাদের, সফলতা আপনাদের: শেখ হাসিনা | গত তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ বছর দেশ পরিকল্পনায় যে ত্রুটি বিচ্যুতি তার দায়ভার আমাদের। আগামীতে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গীকারও করেন সরকারপ্রধান।
বুধবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণার সময় একথা বলেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যা কর্তব্য হিসাবে গ্রহণ করেছি, সেখান থেকে কেউ আমাকে সরাতে পারবে না। আপনারা আমাদের ভোট দিবেন, আমরা উন্নয়ন সমৃদ্ধি দিবো।
তিনি বলেন, সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে শতভাগ সফল হয়েছি তেমন দাবি করবো না। আওয়ামী লীগ কথামালার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা যা বলি বাস্তবায়ন করি।
রাষ্ট্রপরিচালনায় ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরের সরকার পরিচালনার পথ-পরিক্রমায় যা কিছু ভুলত্রুটি তার দায়ভার আমাদের। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকা- পরিচালনা কররো।’
আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটে নির্বাচিত সরকারের জন্য অর্থনীতির এই ক্রান্তিকাল বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে।’ | Positive |
উন্নয়ন চলমান রাখতে নৌকায় ভোট চাইলেন সালমান | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | উন্নয়ন চলমান রাখতে নৌকায় ভোট চাইলেন সালমান | অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের জন্য ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান এফ রহমান। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সরকার আন্তরিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় নির্বাচনে জয়ী হলে নিজের এলাকায় আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
বুধবার সকালে, দোহারের মাহমুদপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে এসব বলেন নৌকার এই প্রার্থী। সালমান এফ রহমান বলেন, পদ্মা পাড়ের জনপদ দোহার-নবাবগঞ্জের বড় সমস্যা নদী ভাঙন। তাই প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবারো আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে ণৌকা মার্কায় ভোট চান সালমান এফ রহমান। দোহারে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, মূল সড়ক চার লেনে উন্নীতসহ উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমান।
ঢাকা-১ আসনে মূল লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই নেতার মধ্যে। এই আসনে সালমান এফ রহমান আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থী সমানতালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূল বিএনপির মুফিদ খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির শামসুজ্জামান চৌধুরী, গণফণ্টের শেখ মো. আলী, ওয়ার্কার্স পার্টির মো. করম আলী এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আ. হাকিম এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন। | Positive |
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়তে নৌকায় ভোট চাইলেন সেলিমা আহমাদ | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়তে নৌকায় ভোট চাইলেন সেলিমা আহমাদ | দুর্গম চর আর খেয়া পাড়ি দিয়ে মেঘনার রামপ্রসাদ এবং টিটির চরে নির্বাচনী প্রচারণা চালান কুমিল্লা-২ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী জনাব সেলিমা আহমাদ মেরী।
এসময় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে। মেঘনা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন এর সার্বিক উন্নয়নের জন্য নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ সেতু সহ রাস্তা ঘাট, বিদ্যুৎ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আগামী ৭ জানুয়ারী নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
সোমবার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন এর রামপ্রশাদের চর ও টিটিরচর এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্যে হোমনা-মেঘনা আসনের নৌকার প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরী এমপি এসব কথা বলেন। সকালে তিনি প্রত্যন্ত এ এলাকায় আসলে নারী পুরুষ এর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আবেগাপ্লুত হয়ে যান।
এ সময় তিনি নির্বাচিত হলে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন এর ব্যাপক উন্নয়নে করার ঘোষণা দেন। এ সময় নারী পুরুষরা সমস্বরে নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করবে বলে জানান। মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেঘনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার, ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। | Positive |
দেড় দশকে বাংলাদেশের রূপান্তর তুলে ধরলেন শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | দেড় দশকে বাংলাদেশের রূপান্তর তুলে ধরলেন শেখ হাসিনা | বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ বছর ২০০৬ সালে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ কোথায় ছিল, আর আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতির কোথায় অবস্থান করছে তার সংক্ষিপ্ত একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার আগে তিনি এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার একটানা ১৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। পাঁচ বছর মেয়াদি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকায় আমরা বাংলাদেশের অভূপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পেরেছি। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই - এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ধান ও দানাদার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রবর্তন এবং বর্গাচাষীদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান করি।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০০১ সালের ১ আক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং নানা চক্রান্তের ফসল হিসেবে বিএনপি জামাত-জোট ক্ষমতার মসনদে আরোহন করে। ক্ষমতায় বসেই চরম দুর্নীতি, দুঃশাসন, হত্যা, নারী ধর্ষণ, হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীর উপর আমানবিক নির্যাতন, লাশ গুমসহ সমগ্র দেশে হত্যা, ত্রাস ও গুমের রাজত্ব কায়েম করে।
মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে থাকে। নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসমেত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ। ছোটখাট অভিঘাত আজ আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। করোনা মহামারিসহ নানা অভিঘাত মোকাবিলা করে সেই প্রমাণ আমরা রেখেছি। | Positive |
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ইশতেহার ঘোষণা করছেন শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ইশতেহার ঘোষণা করছেন শেখ হাসিনা | ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ থিমে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করছেন দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এবারের ইশতেহারের স্লোগান রাখা হয়েছে 'উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান'।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বুধবার সকালে ইশতেহার ঘোষণা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দলীয় প্ইরধান শতেহার ঘোষণা শুরু করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রধান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এরপর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন। টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করা আওয়ামী লীগ প্রায় ১২ কোটি ভোটারকে সামনে রেখে এ ইশতেহার প্রণয়ন করেছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য, দুর্নীতি রোধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি থাকছে এবারের ইশতেহারে। বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছ ১১টি বিষয়ে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সম্বলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’।
২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিলো, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।
আওয়ামী লীগ প্রেসিডেন্ট সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে- চূড়ান্ত ইশতেহার। | Positive |
রাজনৈতিক কারণে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী | একাত্তর টিভি | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | রাজনৈতিক কারণে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী | পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা কোনো দলের কোনো নেতাকর্মীদের অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করিনি, যারা সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত, যাদের চেহারা সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে তাদেরকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
বুধবার রাতে সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ বাসায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা দরকার তা করেছি। আগে বিএনপির সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার ছিলো। এখন আমরা তা বায়োমেট্রিক করেছি। এবার কোনো ভুয়া ভোট হবে না। আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি। সবাই দেখবে কতো ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় আমরা একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। যারা নির্বাচনের সময় সব দায়িত্ব পালন করবেন। | Positive |
‘ভোট দিতে মানুষ উদগ্রীব’ | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
‘ভোট দিতে মানুষ উদগ্রীব’ | আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে মানুষ উদগ্রীব হয়ে বসে আছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক যে বৈশ্বিক চাপ ছিলো তা এখন অনেকটাই কেটে গেছে বলে মনে করেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার ক্যাম্পেইন এডভোকেসি প্রোগ্রামের (ক্যাপ) তত্ত্বাবধায়নে ‘ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন তারা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে সেমিনারটিতে আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়ের মাহমুদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রনব কুমার পান্ডে এবং সিলেট বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সংঘানন্দ মহাথের। ক্যাপের ইলেকশন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিস্ট টিমের সদস্য কামরুল হাসান সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।
আলোচনায় অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডে বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক বৈশ্বিক যে চাপ ছিলো তা অনেকাংশেই কেটে গিয়েছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পক্ষে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভারত, রাশিয়া ও চীন এই তিন আঞ্চলিক পরাশক্তি কখনোই বাংলাদেশের অস্থিতিশীল বা অনির্বাচিত সরকারের সাথে মানিয়ে নিতে অস্বস্তিবোধ করবে। | Positive |
ফরিদুপরে তিন থানার ওসি বদলির নির্দেশ ইসির | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
ফরিদুপরে তিন থানার ওসি বদলির নির্দেশ ইসির | ফরিদপুরের তিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে ওই তিন থানার ওসিকে সরিয়ে দিতে দিয়েছে।
ফরিদপুরের যে তিনটি থানার ওসিদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম, সদরপুর থানার ওসি মো. মামুন আল রশিদ ও ভাঙ্গার ওসি এম এ জলিল। কোতোয়ালি থানা ফরিদপুর-৩ (সদর) সংসদীয় আসনভুক্ত। ভাঙ্গা ও সদরপুর সংসদীয় আসন ফরিদপুর-৪ এর অন্তর্গত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত ওসিদের অন্যত্র বদলিপূর্বক তদস্থলে অন্য জেলা থেকে পদায়ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুরের সদরপুর থানা বাদে বাকি আটটি থানার ওসিকে বদলি করা হয়। তবে সে সময়ে এ বদলি করা হয়েছিলো জেলার মধ্যে এক থানা থেকে অন্য থানায়। | Positive |
আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচনি সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে, থাকছেন শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচনি সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে, থাকছেন শেখ হাসিনা | আগামী ৪ জানুয়ারি নারায়নগঞ্জে দলীয় জনসভার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান।
বৃহস্পতিবার বিকালে চাষাড়ায় রাইফেল ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, সারাদেশে নির্বাচনি প্রচারণার শেষ সমাবেশ ঢাকায় না করে আমাদের এখানে করবেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের যেভাবে তিনি মূল্যায়ন করেছেন, তার জন্য আমরা গর্ববোধ করছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আমাদের নিশ্চিত করেছেন, আগামী ৪ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জের এ কে এম শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে সমাবেশ করবেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা প্রতিপক্ষের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করার পাশাপাশি অদৃশ্য শক্তির সাথে লড়াই করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জে স্মরণকালের বৃহত্তর সমাবেশ করতে চাই আমরা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, দলের নেতাকর্মীদের বলবো, সব বাধা উপেক্ষা করে ওই দিন দুপুর ২টার মধ্যে শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হবেন। আমরা বিশ্বাস করি, সেদিন স্মরণকালের বৃহত্তম সমাবেশ হবে। এই স্টেডিয়ামে ঈদের জামাতে এক লাখ ২৫ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারেন। সে হিসাবে আড়াই লাখ লোকের জায়গা হবে। পাশাপাশি রাস্তাও আছে। এখানে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা থাকবেন। নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যক্তিগত কারণে হয়তো দলের অনেক নেতা মাঠে নেই। জেলা ও মহানগরের সভাপতি, মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী হয়তো কোনো কারণে প্রচারণায় নামেননি। তবে ৪ জানুয়ারির সমাবেশে আসবেন মেয়র আইভী। আশা করছি, আমরা একসঙ্গে সমাবেশ মঞ্চে থাকবো। | Positive |
নির্বাচন নিয়ে কে কী ভাবছে চিন্তিত নয় ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
নির্বাচন নিয়ে কে কী ভাবছে চিন্তিত নয় ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব | বাংলাদেশের লক্ষ্য সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কোন দেশ কি ভাবছে তা নিয়ে চিন্তিত নয় ঢাকা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সাথে হওয়া আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। তাই আগে থেকে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তারপরও কোনো দেশ নিষেধাজ্ঞা দিলে তা মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।
নিজেরা ঠিক থাকলে, সবাই ভোট দিতে গেলে এবং সংঘাতমুক্ত নির্বাচন হলে চিন্তার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভোটাভুটি বিদেশিদের খুশি করার জন্য নয়। ভোট গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। কোন দেশ কি ভাবলো তা আমরা বিবেচনা করবো না।
আসছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩৫টি দেশ পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য আগ্রহ জানিয়েছে এবং প্রতিবেশীসহ বেশ কিছু দেশের সাংবাদিকরাও আসছেন নির্বাচনকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কিন্তু নির্বাচনে দলগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে কয়েকটি দেশ পূর্বে দৌড়ঝাঁপ করলেও এখন তারা অনেকটাই নীরব।
এর আগে গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে। ঘোষণা অনুযায়ী, নির্বাচনে কারচুপি, ভীতি প্রদর্শন এবং নাগরিক ও গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতায় যারা বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ব্যক্তি বিশেষের ওপর ভিসা নীতি আসতে পারে, এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে নয়। | Positive |
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগামী ৭ জানুয়ারি সারাদেশে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
ছুটি ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য ডিফারেন্স মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশন্স’র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি (রোববার) সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারাদেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। | Positive |
https://ekattor.tv/country/mymensingh/56639/%E0%A6%97%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%93 | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
গৌরীপুরে ছুটছেন পপি, জয় নিশ্চিতে একাট্টা নারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা | আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ আসনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি। গ্রামে-গঞ্জে, মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী আর মাত্র নয় দিন। পাঁচ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। আর বিজয় নিশ্চিত করতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান পপি প্রচার-প্রচারণায় দিন-রাত ছুটে চলেছেন গ্রামে-গঞ্জে।
নারী সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা। বিশেষ করে নারী ভোটাররা তাঁকে আপন করে নিয়েছেন নিজ কন্যার মতো। প্রবীণ নারীরা মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করছেন।সহনাটি গ্রামের জমিলা বেগম (৬৫) বলেন, একজন নারীর কষ্ট ও সুযোগ-সুবিধা আরেকজন নারীই বোঝে। পপি আমাদের মেয়ে, সে খুব হাসিখুশি ও পরোপকারী। আমরা পপিকে ভোট দিয়ে পাস করাবো।
পপি বলেন, নারী ভোটাররা তাঁকে ভীষণ আপন করে নিয়েছেন। যেখানেই যাচ্ছেন নারীরা ছুটে আসছে আপনজনের মতো। বিজয়ী হলে প্রবীণ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য তিনি বিশেষ কিছু করতে চান। | Positive |
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৩৫ দেশের ১৮০ পর্যবেক্ষকের আবেদন | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৩৫ দেশের ১৮০ পর্যবেক্ষকের আবেদন | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ৩৫টি দেশ থেকে ১৮০ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আরও ৩০ জন কর্মকর্তা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে আসবেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মোট ৩৫টি দেশ থেকে প্রায় ১৮০ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আরও প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে আসবেন। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য ব্যয় বরাদ্দ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
ভারতীয় সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। তারা এখনও অনুমতি পাননি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুখপাত্র সেহেলী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থার সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। নির্বাচন কমিশন বিদেশি সাংবাদিকদের আবেদন নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করছে। ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে যাদের আবেদন গৃহীত হবে তাদের অনুমতি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই কিছু সংখ্যক সাংবাদিককে তাদের সংশ্লিষ্ট মিশনে ভিসার আবেদন পাঠাতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ই-মেইলের মাধ্যমে অনুরোধ করেছে। | Positive |
ভোটের মাঠে থাকছেন ২০ হাজার ৭৭৩ দেশি পর্যবেক্ষক | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
ভোটের মাঠে থাকছেন ২০ হাজার ৭৭৩ দেশি পর্যবেক্ষক | আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২০ হাজার ৭৭৩ জন দেশি পর্যবেক্ষককে অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন। আর স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।
এসব পর্যবেক্ষক সংস্থার কতজন কোন জেলায় কোন আসনে ও কোন উপজেলায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান শরিফুল।
দেশি পর্যবেক্ষক ছাড়াও এবারের ভোটে আড়াইশো জনের মতো বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে এর আগে জানান ইসির এক কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। দেশের ৩০০ আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮৯৬ প্রার্থী।
ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে। আর স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার দেবে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। | Positive |
আরও ১৯০৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চায় ইসি | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
আরও ১৯০৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চায় ইসি | ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালনে আট বিভাগে আরও এক হাজার ৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ভোটে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে এ জনবল চেয়ে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
জনপ্রশাসন সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণের দুদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের দুদিন পর পর্যন্ত অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য নির্বাচনী এলাকার সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে, বিশেষ করে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, আট বিভাগে এক হাজার ১৬২ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। এছাড়া আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য মোবাইল কোর্টে নিয়োজিত ৭৫৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত আছে। আট বিভাগে অতিরিক্ত আরও এক হাজার ৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।
এই এক হাজার ৯০৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৮৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৮৩ জন ও রংপুর বিভাগে ২৮২ জনের চাহিদা দিয়েছে ইসি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের চাহিদা অনুযায়ী পদায়ন করে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য দুটি ব্যাচে বিভক্ত করে প্রথম ব্যাচের কর্মকর্তাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর ও দ্বিতীয় ব্যাচের কর্মকর্তাদের ২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। | Positive |
ভোটে ‘বাধা ও বাধ্য’ করা নিয়ে যা বলছে মানবাধিকার কমিশন | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
ভোটে ‘বাধা ও বাধ্য’ করা নিয়ে যা বলছে মানবাধিকার কমিশন | কোনো নাগরিকের ভোটে বাধা দেওয়াকে ‘মানবাধিকারের লঙ্ঘন’ এবং ভোট দিতে বাধ্য করাবে ‘আচরণবিধির লঙ্ঘন’ বললেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কামাল উদ্দিন আহমেদ, ভোট দেওয়া এবং ভোট অংশগ্রহণ করা একটি অধিকার। ভোট না দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ না করাও একটা অধিকার।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ভোট দিতে চায়, তাকে যদি বাধা দেওয়া হয়, সেটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আর কাউকে ভোট দিতে বাধ্য করা হলে, সেটি হবে আচরণবিধির লঙ্ঘন।’
পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক বলে এ সময় জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের কোনো নিয়ম নেই। সে কারণে আমি বলবো, ভোট যদি কেউ না দিতে চায় তাহলে সেটা তার ইচ্ছা।
তাই কেউ ভোট দিতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই বলেও মন্তব্য করেন কামাল উদ্দিন আহমেদ।
ভোটের ৯ দিন আগে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মানবাধিকার ও নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালও। | Positive |
দুদিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
দুদিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি | সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্র ও শনিবার দুই দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হবে।
২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে টানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। গত দুই মাস সাধারণ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার বাদ রেখে কর্মসূচি পালন করে আসছিল দলটি। কিন্তু এবার শুক্রবার ও শনিবার কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন পক্ষে আমাদের ৩ দিনের (২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর) কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এই কর্মসূচি আরও ২ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার সারাদেশে গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার দেশের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আবারও বিএনপি নেতাদের ওপর নাশকতার তকমা লাগিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের হদিস মিলছে না। রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে বিরোধীদলের নেতাদের নিশ্চিহ্নে মরিয়া সরকার। এরজন্য এক সময় জবাবদিহি করতে হবে।
সরকারের মাষ্টার প্ল্যানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না- তা প্রমাণিত। ২০১৪ এবং ১৮ সালের মতো নির্বাচন করে সরকার এবার পার পাবে না। জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। মানুষ প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের জন্য তৈরি হচ্ছে। | Positive |
নির্বাচনে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি: সিইসি | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
নির্বাচনে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি: সিইসি | আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।ভোটের ৯ দিন আগে বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন সিইসি। এর আগে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন তিনি।প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, দলগুলোর মধ্যে আস্থা থাকা দরকার। আস্থার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে না পারলে সহিংসতা থেকে যাবে।‘প্রার্থী বা প্রশাসনের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি। মোটাদাগে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি। একদমই হয়নি তা না। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে সহিংসতা না হয়।’প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেন্দ্রে যাতে কোন বাইরের লোক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গণমাধ্যমসহ সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে নির্বাচন একটি দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্যতা পাবে।আগামী সাত জানুয়ারি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় ভোট উৎসব চলছে সারাদেশে। ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র থেকে এক হাজার ৮৯৫ জন প্রার্থী।তবে প্রচার-প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও অনেকের অভিযোগ। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রায় ২০০ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।মানবাধিকার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের বৈঠক প্রসঙ্গে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সহিংসতা থেকে সরে এসে অহিংস পথে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করবে দুই কমিশন।ইসির সঙ্গে বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। আর ইসি কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।বৈঠক শেষে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ভোট দেওয়া যেমন অধিকার তেমনি, ভোট না দেওয়াও একটি অধিকার। | Positive |
বৈঠকে ইসি-মানবাধিকার কমিশন | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
বৈঠকে ইসি-মানবাধিকার কমিশন | আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৈঠকে করেছেন নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। আর ইসি কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় নির্বাচন ইসি কার্যালয়ে সিইসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আবার বৈঠক করবেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বৈঠকে নির্বাচন-পূর্ব, নির্বাচন-কালীন ও নির্বাচন পরবর্তী মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাকি আছে ৯দিন। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় ভোট উৎসব চলছে সারাদেশে। ত০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র থেকে এক হাজার ৮৯৫ জন প্রার্থী।
তবে প্রচার-প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও অনেকের অভিযোগ। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রায় ২০০ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। | Positive |
বিকেলে ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ |
বিকেলে ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন শেখ হাসিনা | আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ৬টি জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।
দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে জামালপুর ও শেরপুর জেলা, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী এবং চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা-থানা-পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাগুলোর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়াল জনসভা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ৫ জেলায় এবং ২৩ ডিসেম্বর ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। | Positive |
সারাদেশে ২০০ প্লাটুন এপিবিএন মোতায়েন | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
সারাদেশে ২০০ প্লাটুন এপিবিএন মোতায়েন | আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে ২০০ প্লাটুন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মেট্রোপলিটন এলাকা/জেলাসমূহকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এপিবিএন ফোর্স ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ হতে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে এবং দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারের প্রায় সাড়ে সাত লাখ সদস্য। নির্বাচনের আগে, পরে ও ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিলো ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিলো ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিলো ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিলো ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। | Positive |
‘আওয়ামী লীগের ইশতেহার সময়োপযোগী’ | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
‘আওয়ামী লীগের ইশতেহার সময়োপযোগী’ | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারটি খুবই সময়োপযোগী। দক্ষ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ইশতেহারটি ফলপ্রসু ভুমিকা পালন করবে।
ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রাম (ক্যাপ) এর উদ্যোগে আয়োজিত শুক্রবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তারা। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে সেমিনারটিতে আলোচনা করা হয়। সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ববিতা বড়ুয়া প্রমুখ। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ক্যাপ এর ইলেকশন এক্সপার্ট এবং রিসার্চ টিমের সদস্য কামরুল হাসান।
সেমিনারে অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারটি খুবই সময়উপযোগী। ইশতেহারটি আধুনিক উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গত ১৫ বছরের অর্থ সামাজিক এবং অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন হয়েছে ইশতেহারটি তারই ধারাবাহিকতা বহন করবে।
সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার আধুনিক ও যুগপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। দক্ষ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ইশতেহারটি ফলপ্রশু ভুমিকা পালন করবে। | Positive |
ঢাকায় যত রাজনীতি জেলায় জেলায় ভোটের হাওয়া | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
ঢাকায় যত রাজনীতি জেলায় জেলায় ভোটের হাওয়া | বিএনপির ডাকা অবরোধ হরতাল গণসংযোগসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে নির্বাচন বর্জনের ডাক যতটা রাজধানীকেন্দ্রিক, ঠিক উল্টো হাওয়া জেলায় উপজেলায় নির্বাচনি মাঠে। দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে তুমুল লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে প্রায় দুইশ’ আসনে।
রংপুরের ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৫ জন। এরমধ্যে অন্তত চারটি আসনে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতা রয়েছে। জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুরে ভোটের হাওয়া বইছে বেশ জোরেশোরে। প্রার্থীরা প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি পোস্টার লিফলেট ছাপিয়েছেন, প্রচার করছেন। তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা এখনও নজরে আসেনি। তবে নৌকার প্রার্থীকে বেশ শক্ত প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
এদিকে বগুড়া সব সময় বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানেও বইছে নির্বাচনি হাওয়া। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র মিলিয়ে এরইমধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচন। বগুড়াতেও মোট সাতটি আসন। সেখানে লড়ছেন ৫৪ জন। তবে, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৫টি আসনে। স্থানীয়রা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হওয়ায় কিছু নেগেটিভ প্রচারণার চেষ্টা আছে, কিন্তু জনগণ এখন ভোটের জন্য প্রস্তুত। | Positive |
দেশের সমৃদ্ধিতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই: শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
দেশের সমৃদ্ধিতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই: শেখ হাসিনা | বরিশালে লাখো মানুষের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যায় তখনই বিএনপি জামায়াত আগুন সন্ত্রাস শুরু করে। তাই দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শুক্রবার বিকেলে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহেনা।
শেখ হাসিনা বললেন, আওয়ামী লীগের হাতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, বিদ্যুতকেন্দ্র, আধুনিক নদী বন্দর আর বিমান বন্দরের সুবিধা পেয়েছে মানুষ। আগামীতে শিল্প-কলকারনা তৈরির মধ্য দিয়ে আরও সমৃদ্ধ হবে বরিশাল।
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়েছে। নিজেদের ভাগ্য গড়তেই তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।
সাত তারিখের ভোটে নৌকার প্রতি সমর্থন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতো বাধাই আসুক সোনার বাংলা গড়াই আমার লক্ষ্য। নৌকায় ভোট দিলেই কেবল দেশের উন্নতি হয়, মনে করিয়ে দেন শেখ হানিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি, তখন ওই বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। রেললাইনের ফিস প্লেট ফেলে দিয়ে, বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মা-সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছে- এই অবস্থায় আগুনে পুড়ে কাঠ হয়ে গেছে। এই দৃশ্য পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আসে আগুন, গাড়িতে আগুন, ঠিক ২০০১ সালে শুরু করেছিল। এরপর ১৩-১৪ একই ঘটনা ঘটায়। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। আমি ধিক্কার জানাই বিএনপি-জামায়াতকে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি বরিশালে উপস্থিত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, সেই লক্ষে এখানে উপস্থিত হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলার। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে তা ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। তিনি অসহায়দের জন্য অকাতরে সব বিলিয়ে দেন। | Positive |
প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করলেই আইনগত ব্যবস্থা: ইসি রাশেদা | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করলেই আইনগত ব্যবস্থা: ইসি রাশেদা | কোনো স্বতন্ত্র, হেভিওয়েট বা লাইটওয়েট প্রার্থী বুঝি না। আমরা প্রার্থীকে প্রার্থী হিসেবে বুঝি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছি। যে প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন তার বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, আচরণবিধি যাতে ঠিক থাকে সেজন্য ভোটের মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা রয়েছেন, তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। ৩০০ আসনে ৩০০ জন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য রয়েছেন, তারা অভিযোগ পেলে তদন্ত ও খতিয়ে দেখছেন। তারা কমিশনে কোনো কিছু পাঠালে কমিশন ব্যবস্থাও নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ যেমন ব্যবস্থাও তেমন গ্রহণ করা হচ্ছে। | Positive |
বরিশালের সভামঞ্চে শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
বরিশালের সভামঞ্চে শেখ হাসিনা | বরিশালে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ২টা ৫৯ মিনিটে তিনি জনসভা মঞ্চে উপস্থিত হন। এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনা মঞ্চে উঠার পর একটি দেশাত্মবোধক গান ও নাচ (ধান নদী খাল, এ তিনে বরিশাল) দিয়ে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান শিল্পীরা। এর আগে দুপুর ১টায় ঢাকা থেকে সড়ক পথে বরিশালে এসে পৌঁছান তিনি। সেখানে পৌঁছে তিনি বরিশাল সার্কিট হাউজে যান। কিছু সময় বিশ্রাম শেষে বিকেলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পৌঁছান। বিকেল ৪ টায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। | Positive |
জনসভায় যোগ দিতে বরিশাল পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
জনসভায় যোগ দিতে বরিশাল পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী | নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিতে বরিশালে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার দুপুর ১টায় বরিশাল পৌঁছান। এর আগে সকাল ৯টার দিকে বরিশালের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
পাঁচ বছর পর বরিশাল আসলেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৩টায় বিভাগীয় নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
তার সফরকে কেন্দ্র করে জেলার পাশাপাশি গোটা বিভাগে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
অনুষ্ঠানস্থলে বিশাল আকারের মঞ্চ নির্মাণসহ সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। | Positive |
৭ তারিখ হতে এখনো সময় আছে, আপনারা আলোচনায় আসুন' | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
'৭ তারিখ হতে এখনো সময় আছে, আপনারা আলোচনায় আসুন' | দেশের স্বার্থে সংঘাত পরিহার করে রাজনৈতিক সহাবস্থান ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আলোচনা বা সংলাপ বিষয়ে বিএনপির সম্মতি রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে এখনো অনেক সময় আছে। বিতর্কিত নির্বাচনের অপবাদ থেকে বেরিয়ে এলে আওয়ামী লীগই লাভবান হবে।
মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছে বলেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিচ্ছে না। আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এমনও হতে পারে বাংলাদেশের মানুষ খুশি হয়ে আবার আপনাদেরই ভোট দেবে। দেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা উপলব্ধি করে রাজনীতি করুন।
তিনি বলেন, এখনো সময় আছে, ৭ তারিখ অনেক দূরে। আপনারা ভাবুন, আলোচনায় বসুন, চিন্তা করুন, সংলাপ করুন। সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন।
মঈন খান আরও বলেন, আমরা সারা দেশে একটি তামাশার নির্বাচন বর্জন করেছি, কিন্তু নির্বাচন বর্জন করিনি। আমরা জানি আজকের পরিবেশ পরিস্থিতি অত্যন্ত দুরূহ। তারপরও আমরা জানি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আজকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পেরেছে এজন্য তারা প্রশংসা পাবে। এবং আজকে আমরা সরকারের চোখে এটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এই চরম পরিস্থিতির মধ্যে সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমি সরকারকে অনুরোধ করব আপনারা যেভাবে বানরের পিঠা বেচার নির্বাচনের আয়োজন করেছেন, নির্বাচনের আগেই সব সিটের ফলাফল ইতোমধ্যে নির্ধারণ করে ফেলেছেন। এখনো সময় আছে এই অপবাদ থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন এতে করে সুনাম আওয়ামী লীগেরই হবে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ। | Positive |
https://ekattor.tv/country/dhaka/56672/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%8C%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ভোটের বিনিময়ে মৌলিক অধিকার চান যৌনকর্মীরা | রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পূর্বপাড়া যৌনপল্লীতেও লেগেছে ভোটের হাওয়া। ভোট দেয়ার অপেক্ষায় ১৩শ’ যৌনকর্মী। সমাজের পিছিয়ে পরা এই নারীরা এতদিন নির্দিষ্ট সীমানায় থাকলেও এখন ভোট উৎসবে মেতেছেন তারা, অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনী বিভিন্ন কাজে। বলছেন, এবার তারা ভোটের বিনিময়ে আদায় করতে চান সকল মৌলিক ও নাগরিক অধিকার।
প্রকৃতির সব আলোই যেখানে বিবর্ণ। জীবন ছন্নছাড়া। রাজবাড়ীর পদ্মা পাড়ের পূর্বপাড়া যৌনপল্লীতে সেখানে একদল মানুষের বসবাস, যারা সমাজের প্রায় সব সুবিধা থেকেই বঞ্চিত।
এখানকার বাসিন্দাদের একসময় জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানায় লেখা ছিলো ‘পতিতালয়’। একারণেও ভোট নিয়ে তাদের আগ্রহও ছিলো না।
যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের ওই বঞ্চনার খবর প্রকাশ করেছিলো একাত্তর টেলিভিশন। এরপর নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে তাদের ঠিকানা লেখা হয় ‘পূর্বপাড়া’।
কয়েকজন যৌনকর্মী বলেন, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের ফলে তারা এখন অন্যত্র গিয়েও কাজ করতে পারছেন। তাছাড়া কোথাও গিয়ে পরিচয় দিতে তাদের সমস্যা হয় না।
নির্বাচনী আমেজ লেগেছে পুরো পূর্বপাড়ায়। আর এখানকার বাসিন্দারা অন্যদের সাথে মিলে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনের বিভিন্ন কাজে, করছেন মিটিং-মিছিল। বলছেন, নতুন সরকারের কাছে ভোটের বিনিময়ে সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা চান তারা।
যৌনকর্মী বলছেন, যে প্রার্থী সবসময় তাদের পাশে থাকবেন- তারা এমন প্রার্থীই চান।
নারী নেত্রীরা বলছেন, পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, উপবৃত্তি, রেশনসহ নানান ধরনের সুবিধা পেয়ে আসছে। তবে সরকারিভাবে দেয়া ঘর পাননি কেউই। | Positive |
ভোটের মাঠে সাড়ে সাত লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ভোটের মাঠে সাড়ে সাত লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য | নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারের প্রায় সাড়ে সাত লাখ সদস্য। নির্বাচনের আগে, পরে ও ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
এদিকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে সারাদেশে।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এরই মধ্যে এবারই প্রথম ভোট দেবেন ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন। নতুন ভোটারদের উৎসাহ দিতে রীতিমত বিজ্ঞাপন বানিয়েছে র্যাব।
এরই মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকাতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টাঙাইলসহ বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। চলছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের উপর নজরদারি। জানা গেছে নির্বাচন ও পরবতী সময়েও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন তারা। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে বিএনপির অভিযোগ ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দেশব্যপী তাদের অন্তত ২৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবশেষ নাশকতার অভিযোগে ২৮ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু এসব গ্রেফতারের পেছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলে জানান পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ঠেকাতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনের প্রার্থী, ভোটার, প্রিজাইডিং ও রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সবাইকে নিরাপত্তা দিতে মাঠে থাকবে এক লাখ ৭৫ হাজার পুলিশ সদস্য। | Positive |
সড়ক পথে বরিশালের উদ্দেশে শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
সড়ক পথে বরিশালের উদ্দেশে শেখ হাসিনা | নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে বরিশালের উদ্দেশে সড়কপথে রওনা হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকা থেকে রওনা হন তিনি।
বরিশালের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে পদ্মা সেতু। ২০২২ সালে স্বপ্নেই এই সেতুর চালু হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভাপতির এটাই প্রথম বরিশাল সফর।
ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সড়কপথে তিনি বরিশাল যাচ্ছেন পদ্মা সেতু হয়েই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল যাচ্ছেন প্রায় পাঁচ বছর পর।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে বেলা তিনটায় বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভায় তার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতির সফর ঘিরে জনসভাস্থলসহ পুরো নগর ও মহাসড়ক জুড়েই তৈরি হয়েছে আগমনী আমেজ, সেই সাথে বিশেষ নিরাপত্তাও জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা, শেখ হাসিনার এ আগমন দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের মাঝে নির্বাচনী এক নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে।
নির্বাচনী আমেজে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো বরিশাল শহর। শেখ হাসিনাকে বরণ করতে মুখিয়ে আছেন বরিশালবাসী। শুধু বঙ্গবন্ধু উদ্যান নয়, পুরো সিটি করপোরেশন সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
বরিশালের সমাবেশেও লাখো মানুষের ঢল নামবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলীয় নেতা ও স্থানীয়রা। জনসভাটি বরিশালের ইতিহাসে বৃহত্তম সমাবেশ হবে বলেও তারা জানান।
দেশের বিভিন্ন উন্নয়নর ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণও দেবেন শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে পায়রায় সমুদ্র বন্দর ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ নানা উন্নয়নের কথাও সমাবেশে তুলে ধরা হবে। | Positive |
সারা দেশে ১ হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
সারা দেশে ১ হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন | নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সারাদেশে এক হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারাদেশে এক হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে আজ থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশের নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। | Positive |
নৌকার প্রচারে বরিশাল যাচ্ছেন শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
নৌকার প্রচারে বরিশাল যাচ্ছেন শেখ হাসিনা | আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রচারণার বরিশাল যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শুক্রবার বেলা তিনটায় বিভাগীয় নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানের নির্বাচনী জনসভায় তার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতির সফর ঘিরে জনসভাস্থলসহ পুরো শহর জুড়েই তৈরি হয়েছে আগমনী আমেজ, সেই সাথে বিশেষ নিরাপত্তাও জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা, শেখ হাসিনার এ আগমন দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের মাঝে নির্বাচনী এক নতুন আমেজ তৈরি করবে। ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো বরিশাল শহর।
বঙ্গবন্ধু কন্যার আগমন উপলক্ষে জনসভাস্থলসহ পুরো শহর জুড়েই তৈরি হয়েছে আগমনী আমেজ। সেই সাথে বিশেষ নিরাপত্তাও জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বরিশালের সমাবেশেও লাখো মানুষের ঢল নামবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণও দেবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান তুলে ধরবেন। | Positive |
বিএনপি ভোটে বাধা দিলে মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে: সিইসি | একাত্তর টিভি | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ |
বিএনপি ভোটে বাধা দিলে মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে: সিইসি | ভোট প্রতিহতের নামে বিএনপি ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিলে তা নির্বাচনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের রয়েছে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাতদিন আগে শনিবার সিলেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভাশেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনেই কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে। আমি চ্যালেঞ্জ দেখছি কিনা? আপনারাও দেখছেন যে, বিএনপি..একটি দল, ওরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছে, নির্বাচন বর্জন করার জন্য। এটা যদি ওভাবেই বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে, এটা কিন্তু খুব বড় চ্যালেঞ্জ নয়।
‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে, গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে কোনো একটা নির্বাচনের পক্ষে যেমন বলা যায়। সেই নির্বাচনের সমালোচনা করাও সম্ভব,’ বলেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচনকে প্রতিহত করতে পারবে না। এখন যদি তারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে, তাহলে একটা চ্যালেঞ্জ আসবে এবং সেটা আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।’
সিইসি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে বলা হয়েছে, তারা যেন বোঝার চেষ্টা করে যে, আসলেই কি তারা (বিএনপি) পিসফুল ম্যানারে নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছে? যদি ওর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে আমাদের কোনো সংকট নেই।
‘কিন্তু নির্বাচনের দিন বা আগে তাদের (বিএনপি) অবস্থান যদি পরিবর্তন হয়, নির্বাচনকে প্রতিহত করার কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করে, ভোটারদেরকে যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান করা হয়, তাহলে অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে,’ বলেন হাবিবুল আউয়াল। | Positive |
পিরোজপুর-১ আসনে মুখোমুখি আউয়াল-রেজাউল | একাত্তর টিভি | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ |
পিরোজপুর-১ আসনে মুখোমুখি আউয়াল-রেজাউল | নদী বেষ্টিত জেলা পিরোজপুর-১ আসনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোটারের এই এলাকায় জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী চারজন। দুই জনের দেখা না মিললেও আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচন।
নির্বাচনী মাঠে নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি থেকে খুনের ঘটনায় জড়িয়েছে ক্ষমতাসীন দল। মুখোমুখি এই অবস্থানকে স্থানীয়রা বলছেন, চলছে শেয়ানে শেয়ানে টক্কর।
পিরোজপুরের সদর, ইন্দুরকানী ও নাজিরপুর উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-১ আসন। সাবেক দুই বারের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল লড়ছেন ঈগল প্রতীকে। অপরদিকে একাদশ সংসদের এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আবারও পেয়েছেন নৌকার টিকিট।
আসনটির চার প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির নজরুল ও তৃণমূল বিএনপির রিপনের হাঁকডাক না থাকলেও রীতিমতো মুখোমুখি নৌকার প্রার্থী রেজাউল ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়াল।
এ অবস্থায় ভোটাররা বলছেন, যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপরীত অবস্থানে থাকা অংশের নেতারা বলছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ নেন না বর্তমান সংসদ সদস্য। আর তাই ঈগলের পক্ষে কাজ করছেন তারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম আউয়ালের অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী দলীয় অফিসে আসেন না। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রটোকল নিয়ে তিনি ভোট চান।
আউয়ালের দাবি, জামায়াত-বিএনপির কিছু লোক নিয়ে চলেন নৌকার প্রার্থী।
অপরদিকে নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার স্ত্রী মামলার আসামি। তার ভাইয়ের বিরুদ্ধেও মামলা আছে। এটি নৌকার ঘাটি, জনগণ নৌকার সঙ্গে আছে। | Positive |
ভোটে অনিয়ম হলে চাকরি যাবে: ইসি হাবিব | একাত্তর টিভি | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ |
ভোটে অনিয়ম হলে চাকরি যাবে: ইসি হাবিব | আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের চাকরি হারাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান।
শনিবার যশোরের মনিরামপুরে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আহসান হাবিব খান বলেন, ভোটে পথভ্রষ্ট, অতি উৎসাহী, সন্ত্রাসীদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না। কোনো প্রকার অনিয়ম হলে চাকরি হারাতে হবে।
আর কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হলে ভোট বন্ধ করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের চলে যাওয়ার আদেশ দেন ইসি হাবিব। তিনি বলেন, লাগলে ভোট নেয়া হবে পরে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, সঠিক লোককে তার পছন্দের মতো ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। সত্য-মিথ্যা দুই অভিযোগই তদন্ত করা হবে। মিথ্যা অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের উপর বিদেশিদের নজর আছে। বাইরের কেউ আমাদের সমস্যা ঠিক করে দিতে পারবে না। ফলে আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। | Positive |
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৮৫০০ আনসার মোতায়েন | একাত্তর টিভি | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ |
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৮৫০০ আনসার মোতায়েন | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮ হাজার ৫০০ জন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকে এসব আনসার সদস্য দায়িত্ব পালনে মাঠে নেমেছেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গণসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ ডিসেম্বর সারা দেশে সাড়ে আট হাজার আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনকালীন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থেকে ২৫০টি প্লাটুন ও ৭৫০টি সেকশনে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোতায়েন করা আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা রিটার্নিং অফিসারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল, স্ট্রাইকিং, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) স্ট্রাইকিং ফোর্স। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী র্যাব ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সকল নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়া ভোটের সময় আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে ১ হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি শুক্রবার থেকে মাঠে নেমেছে।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ২৭টি দল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাত লাখ নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে ভোটের মাঠে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, এবার ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য থাকবেন ভোটের মাঠে। | Positive |
নৌকার প্রচারে জনপ্রিয় যতো গান | একাত্তর টিভি | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ |
নৌকার প্রচারে জনপ্রিয় যতো গান | জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন সময়ে ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণে জন্য বানানো হয় আকর্ষণীয় সব গান। গানের মাধ্যমে সকলের কাছে দেশের উন্নয়ন তুলে ধরতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্যও বের হয়েছে একাধিক গান।
জিতবে আবার নৌকা: ‘টিম জয় বাংলা’র একদল তরুণ শিল্পীর বানানো ‘জিতবে আবার নৌকা’ গানটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাড়া জাগানো এই গানটির নতুন সংস্করণ বের হয়েছে। গানটির প্রযোজক ও গীতিকার তৌহিদ হোসেন। গানের শিল্পী ও সুরকার সরোয়ার ও জিএম আশরাফ, সংগীত পরিচালক ডিজে তনু ও এলএমজি বিটস। সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরে গানের নতুন সংস্করণ বানিয়েছেন তারা।
শুভ্র দেবের গান: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘উন্নয়নের দিকপাল শেখ হাসিনা’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক শুভ্র দেব। গানটির লেখক এবং সুরকার শুভ্র দেব নিজেই।
নির্বাচনী পুথি গান: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলার অন্যতম লোকসংস্কৃতির অংশ পুঁথি গান ফিরে এসেছে। ‘আমরা আছি মাঠে’ নামের পুঁথি গান এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এসব গানের মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র।
পুঁথি গান: পুঁথি গানটি আলোর মুখ দেখেছে মূলত চারজন মানুষের যৌথ উদ্যোগে। যার শুরুটা হয় যুক্তরাষ্ট্রে এক আড্ডা থেকে। সূত্রধর ছিলেন সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সংস্কৃতি জগতের অন্যতম মুখ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন। গানটি লিখেছেন নন্দিত গীতিকবি জুলফিকার রাসেল। সংগীত পরিচালনা করেছেন দেশের অন্যতম সংগীত মুখ ইমন চৌধুরী। পিকলু চৌধুরী নির্মাণ করেছেন ভিডিও। | Positive |
গোপালগঞ্জে দুই জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ |
গোপালগঞ্জে দুই জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা | আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুইটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন। তিনি শুক্রবার বিকেলে বরিশালে জনসভা শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে রাতযাপন করেন।
টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শনিবার সকাল ১১টায় প্রথমে তিনি টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে এবং দুপুর ১টায় কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান কলেজ মাঠে বক্তব্য রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের পাশাপাশি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জনসভা দু’টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি দুইটি জনসভা থেকে তার বক্তব্যে নেতা-কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেবেন। টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় ইতিহাসের বৃহত্তম সমাবেশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। অনুষ্ঠানস্থলে মঞ্চ নির্মাণসহ সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। | Positive |
গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে এই নির্বাচনের বিকল্প নেই: কাদের | একাত্তর টিভি | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ |
গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে এই নির্বাচনের বিকল্প নেই: কাদের | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জোর করে ভোটে নির্বাচিত হতে চাই না। নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে ইলেকশন কমিশন। সেই নির্বাচনে আপনারা দলে দলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে এ নির্বাচন অপরিহার্য, এ নির্বাচনের বিকল্প নেই। হাসিনা বিশ্বাস করে, জনগণই শক্তি। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চাই।
রোববার বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার মকবুল চৌধুরীর হাটে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কাদের বলেন, এখনও একটি মহল শেখ হাসিনাকে হঠাতে চোরাগোপ্তা হামলা করে কিছু লোককে লাশ বানিয়ে এই নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পথসভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।
কবিরহাটের চাপরাশিরহাট বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ক্লাবে এক পথসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বিরোধী পক্ষ নির্বাচন বিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে চায়। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কিন্তু জনগণ ভোট দিয়ে তা প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, আপনারা যদি শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন, আমাকে ভালবাসেন তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। ভাববেন না আমি নির্বাচনে জয়ী হয়ে গেছি। ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমাদের সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়ার দেশে আসার সাহস নাই। তাই সে লন্ডনে বসে কিলিং স্কোয়াড গঠন করছে।
পথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ খান সোহেল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ। এদিন সকাল ১০টায় নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট থেকে গণসংযোগ শুরু করে চর কাঁকরা হয়ে চাপরাশিরহাট এসে গণসংযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জনতা বাজার, আলগি রাস্তার মাথা, আমিনবাজার হয়ে ভূঁইয়ারহাট এসে গণসংযোগ করেন। | Positive |
নির্বিঘ্নে ভোট দিতে চান চিকিৎসকরা | একাত্তর টিভি | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ |
নির্বিঘ্নে ভোট দিতে চান চিকিৎসকরা | শেখ হাসিনাতে আস্থা রেখে ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে চান চিকিৎসকরা। তাই বিনা বাধায় বিনা সহিংসতায় ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা। রোববার, বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শেখ হাসিনায় আস্থা, চিকিৎসক সমাবেশে এই আহ্বান জানান তারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপীল।
চিকিৎসকরা জানান, শেখ হাসিনা ১৫ বছরে দেশকে কিভাবে চালিয়েছেন সেটি দৃশ্যমান। তিনি বিশ্বের কাছে সুন্দর ভাবে বাংলাদেশকে দৃশ্যমান করেছেন। দেশকে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। দেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন না থাকলে গণতন্ত্র থাকতে পারে না। কেউ কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে, নির্বাচন না হোক। নির্বাচন না হলে সংবিধান থাকবে না। যারা আসবে না তারা ব্যর্থ। শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি সমর্থন জানাতে ভোট দিতে যেতে হবে।
ডা. অনুপম সাহা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে শেখ হাসিনার আস্থা রাখতে পরিবারের সবাইকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া দায়িত্ব হওয়া উচিত। মেগা প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সারাদেশকে এক সুতায় নিয়ে এসেছেন। তার উন্নয়নের কথা সবার কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর কারিগর তিনি। তার প্রতি আমাদের মতো তরুণ চিকিৎসকদের যে আস্থা তার প্রতিফলন ঘটাতে চিকিৎসক সমাজকে তাদের পরিবারসহ ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, নির্বাচন আসলেই সম্প্রীতি নষ্ট হয়। তার ভয়াবহ উদাহরণ ২০০১ সালের নির্বাচন। বীভৎস সেই নির্বাচনে আমাদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হত্যা, ধর্ষণ করেছে, লুণ্ঠন করেছে। যার কারণে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আজকের এই শঙ্কা। নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচনকালীন সময়ে এবং বিশেষ করে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু জনগণের ওপর যে নির্যাতন হয় সেতি সম্প্রীতি বিনষ্ট করে। চিকিৎসক সমাজ আমরা আজকে বলতে চাই, আমাদের শেখ হাসিনাতেই আস্থা। আমরা চাই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা চিকিৎসকরা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে চাই। আমার ভোট আমি বিনা বাঁধায়, বিনা সহিংসতায় দিতে চাই। আমাদের এই আবেদন নির্বাচন কমিশনের কাছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আজকে আমরা পৃথিবীর ৩৩তম দেশ।সারা বিশ্বেই এটি স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের ১০ জন নেত্রীর মধ্যে একজন। গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনায় ক্ষমতায় থেকে আমাদের অনেক মেগা প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। একসময় আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকতো। এখন শতভাগ বিদ্যুৎ। এখন আছে বিদেশিদের ষড়যন্ত্র। আমাদের নেত্রী সাহসী বলেই তিনি আমাদের শক্তি। উনি নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছেন। উনি যেটা বলেন সেটা করেন। আগামি ৭ তারিখ ভোট দিয়ে পেশাজীবীদের তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আজকে একসঙ্গে ১৬টি মেট্রোরেলের স্টেশন চলছে। ১৯৮১ সালে তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন পুরো বাংলাদেশ তখন পাকিস্তান হয়ে গিয়েছিল ১৯৭৫ সালের মর্মান্তিক ঘটনার পর। মুক্তিযুদ্ধের সব চেতনা ভুলন্ঠিত করে একে একে সব ধ্বংস করা হচ্ছিল। শেখ হাসিনাতে আস্থা কেন? বাংলাদেশের অন্তর আত্মার জন্য। বাংলাদেশের অন্তর আত্মা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশ যেই জায়গায় এখন আছে, সেই একই জায়গায় নিতে হলে শেখ হাসিনাতে আস্থা আছে। এটার কোন বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে এ ছাড়া আমাদের কাছে বিকল্প থাকে না।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ইশতেহারের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য আছে। তার একটা হচ্ছে তরুণদের কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন করবেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবেন। আজকে বাংলাদেশের ১৬৬টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তার যে অবদান, দারিদ্র্যের হার কমানো, শিক্ষিতের হার বাড়ানো এসবই প্রধানমন্ত্রীর অবদান। আমাদের দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামীতেও তিনি উন্নত সমৃদ্ধ করে তুলবেন। ৪২টি রাজনৈতিক দল , ২৮টি অংশগ্রহণ করছে। দেশের ৭০ শতাংশ ভোটার অবস্থান করছেন। আমরা ৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিত থেকে ভোট দিতে চাই।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তরুণদের মধ্যে ভোট দেয়ার আনন্দ, উত্তেজনা, আগরহ বাড়ানোর দায়িত্ব রাজনিতিবিদদের যেমন, ঠিক একইভাবে আমাদেরও। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে কিন্তু তরুণদের জন্য অনেক ভালো ভালো কথা আছে। সেগুলো তাদেরকে বুঝাতে হবে। আমরা ধরে নিচ্ছি আগামি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে। সেই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিজয়ী হবে। | Positive |
গাজীপুরের চার আসনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি | একাত্তর টিভি | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ |
গাজীপুরের চার আসনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি | সাবেক মেয়রের জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থনে শক্ত অবস্থানে গাজীপুরের চারটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভোটাররা মনে করছেন, জটিল রাজনীতির এই জেলায় এবারের নির্বাচনী লড়াই জমবে হাড্ডাহাড্ডি।
গাজীপুর-১ আসনে মুক্তিযযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর গাজীপুর-৩ আসনে একজন সংরক্ষিত অন্যজন নির্বাচিত। দুই সংসদ সদস্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এই আসনেও। গাজীপুর-৩
দীর্ঘদিনের সংসদ সদস্য রহমত আলীর মৃত্যুর পর শ্রীপুর মাওনা নিয়ে গঠিত গাজীপুর-৩ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ। জেলার প্রথম সারির নেতা হলেও এবার পাননি নৌকা প্রতীক। রহমত আলীর মেয়ে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলী নৌকা প্রতীক পেলেও সাত প্রার্থীর মধ্যে তার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ট্রাক প্রতীকের সঙ্গে।
গাজীপুর-২
বাবার মৃত্যুর পর পরপর চারবার গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। মোট ৯ জন প্রর্থী হলেও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের সমর্থনে এই আসনে এবার শক্ত অবস্থানে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন। ঈগল প্রতীকে এই আসনে আছেন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম। তিন শক্ত প্রার্থীর এই আসনে এবারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা আর ট্রাক প্রতীকে। যদিও কেউ কেউ মনে করেন লড়াই হবে ত্রিমুখী। | Positive |
গৌরীপুরে নৌকার প্রার্থী পপির জনসভা | একাত্তর টিভি | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ |
গৌরীপুরে নৌকার প্রার্থী পপির জনসভা | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার আনজুম পপির নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে জনসভা হয়েছে।
রোববার অচিন্তপুর, মাওহা ও সহনাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিকেলে শাহগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই জনসভা হয়।
অচিন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লস্কর ব্যাপারীর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্র লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম ছোটনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা যুব লীগের সভাপতি সানাউল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রহিম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার রুবি, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মোতালিবসহ অন্য নেতারা।
জনসভায় ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান বক্তারা। | Positive |
ঢাকার চারটি আসনে তীব্র লড়াইয়ের আভাস | একাত্তর টিভি | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ |
ঢাকার চারটি আসনে তীব্র লড়াইয়ের আভাস | আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা বা শরিকদের না ছাড়ায় এবার ঢাকার চারটি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে প্রার্থীদের মধ্যে। এসব আসনে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচার জমেছে বেশ জোরেশোরেই। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের এসব আসনে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কেন্দ্র করে আসনগুলোতে রয়েছে সহিংসতারও শঙ্কা।
ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ)
গেলো নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে লাঙ্গলের প্রার্থী সালমা ইসলামকে পরাজিত করে এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আসন সমঝোতা না হওয়ায় এবার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে ঢাকার এই আসনে। সাত জন প্রার্থী থাকলেও এবারও এই আসনে মূল লড়াই হবে নৌকা আর লাঙ্গলেই। | Positive |
পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কিন্তু প্রমাণ করতেই হবে: সিইসি | একাত্তর টিভি | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ |
পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কিন্তু প্রমাণ করতেই হবে: সিইসি | ভোট আয়োজন ঘিরে নির্বাচন কমিশন খুব কুসুমাস্তীর্ণ পথে এগুচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তবে সরকারের অধীনে ইসি যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে, এটা প্রমাণ করতেই হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়দিন আগে রোববার ভোটে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন আমাদের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু খুব কুসুমাস্তীর্ণ পথে আমরা এগুচ্ছি না। নির্বাচন নিয়ে আমাদের দেশে দীর্ঘ সময় ধরে কিছু বিতর্ক চলছেই।
‘নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা, নির্বাচন ঠিক হয়েছে কি হয়নি- এই সমস্ত বিতর্কের কারণে, আমাদের দেশের নির্বাচন প্রশ্নে যেমন বাকবিতণ্ডা হচ্ছে, তেমন সহিংসতাও হয়েছে।’
সিইসি বলেন, ‘আমাদের আগামী নির্বাচনটা; সেখানে আমাদের বেশি মনোযোগী হতে হবে আরেকটি কারণে যে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা বাক-বিতণ্ডা আছে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বে একটা অংশ তারা নির্বাচন বর্জন করেছে।’
এ কারণেই ‘সকলে মিলেমিশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, এই ইউনিভার্সালটা হয়তো কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করা হয়েছিলো, সহিংসতা হয়েছিলো আপনারা জানেন। সেজন্য সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও কিছু বিতর্ক হয়েছে। নির্বাচনটা সার্বিকভাবে অংশ গ্রহণমূলক ছিলো, কোনো চ্যালেঞ্জ তখন ছিলো না। পরবর্তীতে সেটা নিয়ে কিছু বিতর্ক হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রচলিত নির্বাচন নিয়ে সার্বিক যে গ্রহণযোগ্যতা, সেটা অনেকটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সেজন্যই এবারের নির্বাচনটা, যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে, একটি সরকার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে।
‘আমরা নির্বাচন আয়োজন করছি। নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়, ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডি। সরকার বাধ্য, নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা প্রদান করতে। এটা সাংবিধানিকভাবেই সরকার বাধ্য।’
আবার সরকারের সহায়তা ছাড়া আমরা নির্বাচন করতে পারি না বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের আগ্রহ প্রকাশ করছে। সরকারের সাথে, আমাদের সাথে তারা বারবার সাক্ষাৎ করছেন এবং তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন।
‘তারা আশা করেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে। তারা যখন আশা করেন, তখন বুঝতে হবে তারা বেশ শক্তভাবেই আশা করেন। কাজেই তাদের আশাটা অন্যায় নয়, বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। | Positive |
ফরিদপুর যাচ্ছেন শেখ হাসিনা | একাত্তর টিভি | ০১ জানুয়ারি ২০২৪ |
ফরিদপুর যাচ্ছেন শেখ হাসিনা | নির্বাচনী প্রচারে জনসভা করতে মঙ্গলবার ফরিদপুর যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় সভাপতির এই সফর ঘিরে উৎফুল্ল নেতাকর্মীসহ ফরিদপুরের সাধারণ মানুষ। নেতাকর্মীরা মনে করেন, এই সফরের প্রভাব পড়বে ভোটারদের মধ্যে।
বিকেলে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যার এই ফরিদপুর সফর। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফরিদপুরে গিয়েছিলেন তিনি। সফর ঘিরে উচ্ছ্বাসিত ফরিদপুরের সাধারণ মানুষরা বলছেন, তাদের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ শেখ হাসিনার এই সফর। কারণ ফরিদপুরের সাথে শেখ হাসিনার রয়েছে আত্মার সম্পর্ক।
দলীয় সভাপতির এ সফরকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। তারা মনে করেন, শেখ হাসিনার এ সফর জেলার চারটি আসনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ে ভূমিকা রাখবে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে মাঠে ৫০ হাজার নেতাকর্মীসহ সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় মোট এক লাখ লোকের সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। সভায় ফরিদপুরের বাকি তিনটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরাও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে ফরিদপুরের অনেক প্রত্যাশা। তার এই সফরে প্রত্যাশা পূরণের আশ্বাস পাওয়া যাবে বলে মনে করেন শামীম।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে জনসভা উপলক্ষ্যে একদিকে অবস্থিত স্থায়ী মঞ্চ ঘিরে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী বানানো হয়েছে। মাঠে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা বসার জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। | Positive |
End of preview. Expand
in Dataset Viewer.
README.md exists but content is empty.
Use the Edit dataset card button to edit it.
- Downloads last month
- 37